চাঁদের আলোয় মোড়া এক সুন্দর রাত। আকাশে ভাসছে সাদা মেঘ, চারদিকে নিস্তব্ধতা। শুধু শুনতে পাওয়া যাচ্ছে পাতার মৃদু দোলা আর হৃদয়ের বয়ে চলা এক অদ্ভুত সুর। রুমের ভিতর মৃদু হলুদ আলো জ্বলছে, তারই মাঝে বসে আছে অরণ্য আর তৃষা। আজ তাদের প্রথম রাত, বাসর রাত।

তৃষা কিছুটা লজ্জিতভাবে তাকিয়ে আছে মেঝের দিকে, হাতের আঙুল নিয়ে খেলছে। অরণ্য ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে গেলো।

👉 "তৃষা…!"

তৃষা মাথা তুলে তাকাল, চোখে কিঞ্চিৎ ভয় আর অনেক প্রশ্ন। অরণ্য মৃদু হেসে বলল,

👉 "তোমাকে দেখলেই বুকের ভেতর কেমন যেন একটা শিহরণ জাগে! আমি কি তোমার কাছে আসতে পারি?"

তৃষার ঠোঁটে এক চিলতে হাসি এলো, কিন্তু সে চুপ রইলো। অরণ্য ধীরে ধীরে তার হাতটা ধরল। হাতটা কাঁপছিল, যেন প্রথমবার কারও স্পর্শে হারিয়ে যেতে চাইছে।

👉 "তুমি কি ভয় পাচ্ছো?" অরণ্য কানে কানে বলল।

👉 "আমি জানি না, কিন্তু এই অনুভূতিটা নতুন! তোমার কাছে থাকলে মনে হয় হারিয়ে যাবো…!" তৃষা মৃদু স্বরে বলল।

অরণ্য ধীরে ধীরে তৃষাকে নিজের বাহুডোরে টেনে নিলো। তার নরম চুলে হাত বুলিয়ে বলল,

👉 "ভয় পেও না, আমি আছি… তোমার পাশেই! সারাজীবন…!"

তৃষার হৃদস্পন্দন দ্রুত হচ্ছিল। অরণ্যের উষ্ণ নিঃশ্বাস তার কাঁধে লাগছিল, আর সে অনুভব করছিল এক অন্যরকম অনুভূতি।

👉 "তৃষা, তুমি জানো? চাঁদ যেমন রাতের জন্য, তেমনই তুমি আমার জন্য! তোমাকে ছাড়া আমার কোনো অস্তিত্ব নেই!"

তৃষা এবার একটু শক্ত হয়ে অরণ্যের বুকে মাথা রাখলো। তার কণ্ঠস্বরে ছিল অদ্ভুত ভালোবাসার আভাস।

👉 "আমি তোমাকে ভালোবাসি, অরণ্য!"

অরণ্য এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলো। তারপর তৃষার গালে আলতো করে হাত রেখে বলল,

👉 "ভালোবাসা শুধু শব্দ নয়, এটা অনুভূতি… এবং আমি সেই অনুভূতিটা তোমার মাঝে খুঁজে পেয়েছি!"

তৃষার চোখে জল চলে এল। সে অরণ্যের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল। অরণ্য আলতো করে তার কপালে চুমু দিলো।

রাতের গভীরতা বাড়ছিল, ভালোবাসার শিহরণ তাদের মধ্যে এক নতুন অধ্যায় রচনা করছিল।

(শেষ) ❤️🔥