গল্প: চাঁদের আলোয় তুমি আমি (অধরা স্পর্শ)

সাগরপাড়ের বাতাসটা আজ কেমন যেন মোহময়। ঝাউগাছের পাতাগুলো মৃদু দুলছে, আর ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে ধীরে ধীরে, যেন তারাও এই গভীর মুহূর্তের সাক্ষী। অর্ণব আর তৃষা পাশাপাশি বসে আছে, একদম নীরব। শুধু তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ যেন চারপাশের নিরবতাকে আরও গভীর করে তুলছে।

তৃষার একগুচ্ছ চুল বাতাসে উড়ে এসে অর্ণবের গালে স্পর্শ করল। অর্ণব ধীরে ধীরে মুখ ঘুরিয়ে তাকাল তৃষার দিকে। মেয়েটা চাঁদের আলোয় যেন আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে। তার চোখের তারায় অদ্ভুত এক টান, যেন সে কিছু বলতে চায়, কিন্তু শব্দ খুঁজে পাচ্ছে না।

অর্ণব তার আঙুল বাড়িয়ে তৃষার চুলগুলো সরিয়ে দিল। তারপর ধীরে ধীরে তার গাল ছুঁয়ে বলল,

অর্ণব: "তোমাকে ছুঁতে গেলে কেন যেন মনে হয়, আমি স্বপ্নে আছি…"

তৃষা হেসে বলল,

তৃষা: "তাহলে জেগে ওঠো, অর্ণব। স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার জন্য হয় না, অনুভবের জন্য হয়!"

অর্ণব আর নিজেকে আটকে রাখতে পারল না। একদম ধীরে ধীরে তৃষার মুখের কাছে এগিয়ে গেল। তৃষার ঠোঁটের ঠিক সামনে এসে থেমে গেল সে। দুজনের নিঃশ্বাসের উষ্ণতা একে অপরকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।

তৃষা একটু কেঁপে উঠল, তারপর চোখ বুজে ফেলল। অর্ণব তার নরম গালে একটুখানি স্পর্শ করল, আঙুল দিয়ে তার চিবুক ছুঁয়ে তুলল ধীরে ধীরে।

অর্ণব: "তৃষা, তুমি জানো? এই মুহূর্তটা যদি সারাজীবন ধরে স্থির করে রাখতে পারতাম..."

তৃষা চোখ খুলল, তার চোখে গভীর এক নেশা ছড়িয়ে আছে।

তৃষা: "কেন থামবে? সময় থামিয়ে দাও না তুমি?"

অর্ণব আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা করল না। ধীরে ধীরে সে তৃষাকে আরও কাছে টেনে নিল, তাদের ঠোঁট একে অপরের স্পর্শের কাছাকাছি এসে থেমে রইল…

বাতাস থেমে গেল যেন। শুধু সমুদ্রের ঢেউ আর বুকের ভেতর উথাল-পাথাল করা অনুভূতিগুলো একসঙ্গে বাজতে লাগল।

শেষ নয়, শুরু...