জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল। ছবি : সংগৃহীত
জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল। ছবি : সংগৃহীত
ঐতিহাসিক এক ঘটনায় জিম্বাবুয়ে উইকেটকিপার ক্লাইভ মাদান্দে ক্রিকেট ইতিহাসে একটি অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক রেকর্ড গড়েছেন। জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন মাদান্দে টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে কোনো উইকেটকিপারের সবচেয়ে বেশি বাই (অতিরিক্ত) রান দেওয়ার রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি।   ১৪৭ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে পুরনো রেকর্ডটি পূর্বে ইংল্যান্ডের লেস আমেসের দখলে ছিল, যিনি ১৯৩৪ সালে দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৭টি বাই দিয়েছিলেন। মাদান্দে স্ট্যাম্পের পেছনের কঠিন দিনে অতিরিক্ত রান সংখ্যা বেড়ে ৫৯-এ পৌঁছায়, যেখানে বাই আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হয়।
জিম্বাবুয়ের বোলিং পারফরম্যান্স আয়ারল্যান্ডকে ২৫০ রানে সীমাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়। শক্তিশালী সূচনা সত্ত্বেও আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ১৬৫-৩ থেকে ২০৩-৯ তে ধসে পড়ে, শেষ উইকেট পার্টনারশিপ তাদের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। পিটার মুর আয়ারল্যান্ডের স্কোরকার্ডে ৭৯ রান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন।
অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, যেখানে ব্লেসিং মুজারাবানি এবং তানাকা চিভাঙ্গা তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন এবং তেনদাই চাতারা ও শন উইলিয়ামস দুটি করে উইকেট দখল করেন। তবে, মাদান্দের রেকর্ড বোলিং সাফল্যকে ম্লান করে দেয়।   এর আগে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বেশ খারাপভাবে হয়। তারা মাত্র ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায়, এখন তারা ৪০ রানে পিছিয়ে। ক্লাইভ মাদান্দের অভিষেক আরও খারাপ হয়, কারণ তিনি গোল্ডেন ডাক হয়ে আউট হন। তা সত্ত্বেও, জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ১২ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়ে বর্তমানে পিছিয়ে আছে ২৮ রানে।   একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি এ দুই ছোট দলের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে আরও সুযোগ ও প্রচারণার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। উভয় দলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোর বিপক্ষে আরও ম্যাচ নিশ্চিত করতে চায়, যা তাদের পারফরম্যান্স ও আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নত করবে।   এ টেস্ট ম্যাচটি কেবল দলগুলোর চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে না, বরং ক্রিকেটের অনির্দেশ্য ও আকর্ষণীয় প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে, যেখানে ইতিহাস অপ্রত্যাশিতভাবে রচিত হতে পারে।